Ain’t I a Royal? – the last ever Jubilee!

Anti Royal Celebration: Time to End an Antique Feudal Dysfunction - রানীর রাজতন্ত্র আর কত?

এ মাসে রানী তার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন করবেন। রানী এলিজাবেথ ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে থাকা ব্রিটেনের রানী। তিনি ইউরোপে চতুর্দশ লুইয়ের পরে দ্বিতীয় স্থানে থাকবেন। অফিসে এত দীর্ঘ মেয়াদে থাকা উল্লেখযোগ্য একটি মাইলফলক এবং জাতীয় প্রশংসা ও আনন্দের দাবি রাখে। এই জয়ন্তী তার ৭০ বছরের রাজত্বকে চার দিনের ব্যাংক ছুটি সহ জাঁকজমক ভাবে স্মরণ করে। কিন্তু এটি এটি সুন্দরভাবে রাজতন্ত্রকে শেষ করার একটি ভাল সময়ও। এটাকে রাজতন্ত্রের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি হিসেবে স্মরণ করা যাক।

রাজতন্ত্র এবং সংবিধান এখন আর আলোচনার বাহিরের বিষয় নয়। ডাউনিং স্ট্রিটে বরিস জনসনের প্রবেশ ঐতিহ্য, আইন এবং নাগরিক অধিকারগুলিকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু রাজতন্ত্র ন্যায়বিচার দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি তারা তাদের ক্ষমতাহীনতার কারণে সমস্যার সমাধানও করতে পারেনি। সম্প্রতি, রাজতন্ত্র একটি সম্মানজনক কিন্তু অসহায় সিস্টেম হয়ে দাড়িয়েছে যা কখনই সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করে না বা করার অধিকার রাখেনা। সংবিধান এখন রাজতন্ত্রের কর্তৃত্ব নয়, বরং সাংবিধান রাজতন্ত্রের ক্ষমতার অভাব প্রতিষ্ঠা করেছে। সারা ইউরোপ জুড়ে রাষ্ট্রপতিরা সাংবিধানিক সংশোধনীগুলি রক্ষা করেন এবং আইন অমান্যকারী রাজনীতিবিদদের উপর নজর রাখেন। একজন প্রেসিডেন্ট জনসনকে অবৈধভাবে সংসদ স্থগিত করতে বাধা দিতেন। কিন্তু রানী ক্ষমতার অভাবে কিছুই করতে পারেনি। রাজতন্ত্রের অবসান মানুষের নিজেকে নিজেই শাসন করা এবং ভবিষ্যতে কীভাবে তারা নিজেদেরকে দেখতে চায় তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভাবতে সুযোগ করে দিবে। রাজকীয় জয়ন্তী এমন একটি পরিস্থিতি যার সমাপ্তি হওয়া উচিত; যা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যায় না। এখন সময় এসেছে জনগণকে তাদের সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার। এ জয়ন্তী ব্রিটিশ জনগণকে চার দিনের ছুটি দেওয়ার চেয়ে আরও বেশি দেয়: এটি তাদের প্রাপ্য সেবা, ত্যাগ, এবং নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তা এবং প্রশ্ন করার সুযোগও দেয়।

Exit mobile version